গলায় আঘাতের চিহ্ন, দাফনের ১৪৪ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন
ঝালকাঠির রাজাপুরে দাফনের ১৪৪ দিন পরে কবর থেকে মিরাজ নামে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ওই যুবকের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ১৯ মে বিকেলে একই এলাকর বাবু হাওলাদার, কামাল মৃধা, আল-আমিন হাওলাদার, পারভেজ হাওলাদার, হাছিব, ইকবাল, রিপন বাড়ি থেকে মিরাজকে ডেকে নেয়। পরের দিন ভোর ৫টার দিকে বিউটি নামে এলাকার এক নারী মিরাজের পরিবারকে জানায় তার ছেলে গাছ থেকে পরে তার ঘরে বেহুঁশ হয়ে আছে। ওই বাড়ি থেকে বেহুঁশ অবস্থায় মিরাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বরিশাল থেকে ওই দিনই মিরাজকে ঢাকায় পাঠায়। ২১ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজের মৃত্যু হয়। ঢাকা থেকে পরের দিন লাশ বাড়িতে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দাফনের আগে গোসলের সময় লাশেলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর খোঁজখবর নিলে ঘটনার সত্যতা বের হতে থাকে। গত ১৯ মে যারা মিরাজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়েছিল তারাই পূর্ব শত্রুতার জেরে বিউটির বাড়িতে নিয়ে রাতভর শ্বাসরোধসহ শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বেহুঁশ অবস্থায় মিরাজকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মিরাজের বাবা বাদী হয়ে গত ২২ জুন উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআইকে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশ পেয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরা মৌরি বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত লাশের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। আমি সেই নির্দেশ পালন করে লাশ উত্তোলন সম্পন্ন করেছি।’