সুদানে নতুন সহিংসতা /
বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলায় নিহত ৬০
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আল-ফাশারে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে শনিবার ড্রোন ও আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মীরা জানান, আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটিতে তাদের হামলা আরও জোরদার করেছে, এমন সময় এই হত্যাযজ্ঞ ঘটে।
উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল-ফাশারের প্রতিরোধ কমিটি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অবস্থিত দার আল-আরকাম বাস্তুচ্যুত কেন্দ্রটিতে আরএসএফ হামলা চালায়।
বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, অনেকের দেহ পুরোপুরি পুড়ে গেছে।’
তারা আরও বলে, ‘শহরের পরিস্থিতি এখন দুর্যোগ বা গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ, অথচ বিশ্ব নীরব।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রথমদিকে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলা হলেও পরে কমিটি জানায়, দুইটি ড্রোন ও আটটি আর্টিলারি গোলা ব্যবহৃত এই হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। অনেক লাশ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে।
স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটিগুলো মূলত সংঘাতকবলিত এলাকায় সহায়তা সমন্বয় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নথিবদ্ধ করে থাকে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও সরকারি সেনাবাহিনী পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। এই সংঘাতে দশ-হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত, এবং প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আল-ফাশার দারফুর অঞ্চলের শেষ রাজ্য রাজধানী, যা এখনো আরএসএফের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শহরটি এখন যুদ্ধের কৌশলগতভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে তাদের ক্ষমতা সুসংহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফল্কার টার্ক বলেন, তিনি আরএসএফের সাম্প্রতিক বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত, বিশেষ করে যেসব হত্যাকাণ্ডে জাতিগতভাবে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে তারা এখনো বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, আহত ও বাস্তুচ্যুত করছে, হাসপাতাল ও মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস