সুদের টাকা না পেয়ে ইমামের নেতৃত্বে বাড়িঘর ভাঙচুর
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সুদের টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় এক ইমামের নেতৃত্বে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
প্রেপ্তাররা হলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার জামিরাকান্দা গ্রামের আমানউল্লাহ মুন্সির স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪২), মকবুল হোসনের দুই ছেলে বাবুল মিয়া (২১) ও নয়ন মিয়া (১৯) এবং খাদিজা বেগম (২৬)। গত বুধবার জামিরাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন গতকাল নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী রিতা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রিতা বেগম পাশের পাঁচগাঁও গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম আমানউল্লাহ মুন্সির কাছ থেকে মাসিক ১০ শতাংশ সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। তিনি নিয়মিত সুদের টাকা ও মূলধনের ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও ইমাম অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা মাসিক সুদ দাবি করতে থাকেন। তার দাবি অনুযায়ী এখনো রিতার কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকা পাবেন।
এদিকে, রিতা বেগম সুদের টাকা জোগাড় করার জন্য স্বামী-সন্তানের কাছে ঢাকায় চলে যান। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে গত বুধবার ইমাম আমানউল্লাহ ও তার সহযোগীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। রিতা বেগম অভিযোগ করে জানান, আমানউল্লাহ শ্রমিক ভাড়া করে ঘরের টিন, কাঠ, খুঁটি, নলকূপ ও গোসলখানা, রান্নাঘর ও মেঝের ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর রিতা বেগম জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল অভিযুক্ত ইমাম আমানউল্লাহ মুন্সি পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’