সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নামে গৃহবধূকে বিক্রি

টঙ্গী প্রতিনিধি
১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৫
শেয়ার :
সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নামে গৃহবধূকে বিক্রি

কাজ দেওয়ার কথা বলে সিঙ্গাপুর পাঠানোর নামে এক গৃহবধূকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।এ অভিযোগের ভিত্তিতে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার নিমুরিয়া গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে মো. মাহামুদুর রহমান (৩০) এবং জয়দেবপুর থানার কাতিয়া এলাকার মো. নিয়ামত উল্লাহর ছেলে মো. সোয়াইব।

জানা গেছে, অভাব-অনটন দূর করার জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গাজীপুরের কামরুন্নেহছা ঝুমকা নামের এক গৃহবধূ। এরপর তিনি ও তার পরিবার জনৈক মাহবুব নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির শরণাপন্ন হন। এই সুযোগে মাহাবুবুর রহমান নিজেকে ‘সিটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’ নামের একটি এজেন্সির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে জানান। এসময় তিনি গৃহবধূকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর প্রলোভন দেখান এবং উচ্চ উপার্জন করতে পারবেন বলে নিশ্চয়তা দেন। 

মাহবুবের প্রলোভনে পরে ঝুমকার পরিবার দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করে। এরপর গত ৭ জুলাই ওই ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।

কিছুদিন পর ঝুমকার পরিবার জানতে পারে, সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর কথা বলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাকে বিদেশে পাঠায়। পরে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে তাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর পুলিশ ঝুমকাকে আটক করে কারাগারে পাঠায় বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সাহেরা বেগম বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউর রহমানের দিকনির্দেশনায় একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসন থানা এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় বাসন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।