জিম্মিদের ঘরে স্বস্তি ও ট্রাম্পের স্তুতি
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রাথমিক ধাপের খবর ইসরায়েলের জিম্মিদের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিক স্বস্তি ও আনন্দের বন্যা এনে দিয়েছে। গত দুই বছর ধরে হামাসের হাতে আটক স্বজনদের মুক্তির জন্য যারা লবিং এবং প্রার্থনা করছিলেন, বৃহস্পতিবার এই খবর তাদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত ছিল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
তেল আবিবের রাস্তায়, অশ্রুসজল পরিবারের সদস্যরা পরস্পরকে আলিঙ্গন করেছেন, উল্লাস করেছেন এবং কেউ কেউ শ্যাম্পেনের বোতলের ছিপি খুলেছেন। হারেৎজ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় আটক এক ইসরায়েলি জিম্মির মা আনন্দের কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘মাতান বাড়ি ফিরছে। এই অশ্রুর জন্যই আমি প্রার্থনা করেছিলাম।’
শহরের ‘জিম্মি স্কোয়ার’-এ জড়ো হওয়া কিছু মানুষ চুক্তি মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা স্লোগান দেন, ‘ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
যুদ্ধ চলাকালে জিম্মিদের পরিবার ও শান্তিকামী অনেক ইসরায়েলি সরকারের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে নিয়মিত হারেই বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা বারবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জিম্মিদের জীবিত উদ্ধারের দাবি জানিয়ে এসেছেন।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে, হামাস জানিয়েছে, এখনও জীবিত ২০ জন জিম্মিকে এই সপ্তাহান্তের প্রথম দিকেই মুক্তি দেওয়া হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে এই জিম্মিদের বিনিময় হবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ চুক্তিকে ‘ইসরায়েলের বড় দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরের সাহায্যে, আমরা তাঁদের সবাইকে বাড়ি ফিরিয়ে আনব।’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘পুরো জাতি অপেক্ষায় আছে। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং নিহত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস ১১৩৯ জনকে হত্যা করেছিল। এ ছাড়া তারা ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল। এঁদের মধ্যে ৪৭ জন এখনও আটক আছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস