সাবেরের বাসায় কূটনীতিকদের বৈঠক নিয়ে যা বললেন আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন, সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। এ নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। তারা বৈঠক করবেন, এটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ। এরপর করা ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এটা (কূটনীতিকদের বৈঠক) আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘না, গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারও বাসায় মিটিং করলে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল! রাজনীতি এত সহজ ব্যাপার নাকি? কারও বাসায় মিটিং করলাম, আর রাজনীতির মধ্যে একটা পরিবর্তন ঘটে গেল।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কী চায় সেটাই বড় প্রশ্ন। বাধা-বিপত্তির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের সত্যিকারের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগে কোনো বাধা থাকবে না। নির্বাচন স্থিতিশীলতা থাকলে সবকিছুই সহজ হবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশ গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণভোট, সংস্কার বা ঐকমত্য কমিশন— যাই বলা হোক না কেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তার বাইরে কোনো আলোচনা হবে না। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে। বড় দল হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন মনোনয়ন দেবে, তখন সবাই এক হয়ে কাজ করবে।’
জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে সাবের হোসেন চৌধুরীর নিজ বাসভবনে অতি গোপনীয়তায় তিন দেশের রাষ্ট্রদূত বৈঠক করেন বলে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ তিন রাষ্ট্রদূত হলেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মলার।