ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।’ এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পরও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এদিন রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তার ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়নের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তবে, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্পের এ ঘোষণার পরও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা নগরীর পশ্চিমাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। বিমান থেকে ফেলা গোলা আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে আঘাত হানে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীর দক্ষিণে সাবরা এলাকার কিছু বাড়িঘরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটান। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
প্রসঙ্গত, গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা নিয়ে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস খানিকটা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আর ইসরায়েল তা আগেই মেনে নেয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন বলে দাবি করে ইসরায়েল। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাদের মধ্যে ৪৭ জন এখনও গাজায় রয়েছেন। তবে, এর মধ্যে ২৫ জন আর বেঁচে নেই বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় টানা নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনারা।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস