ঢাকায় থাকা ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড়ে এসে মহাসড়ক পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খাঁন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ অংশে যানজটে আটকা পড়েন তিনি। পরে মোটরসাইকেল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড়ে এসে মহাসড়কটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় অফিসে না বসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা অফিসে না পাওয়া গেলে তাদের সাসপেন্ড করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে- তা ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতির কারণে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যা সমাধান করার কথা জানান সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘বিশ্ব রোড এলাকায় একটি উড়াল সেতু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ডিজাইন প্রণয়নসহ সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সড়কপথে যানজটের কারণে রেলপথে অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকালে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ভৈরবে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খাঁন। সেখান থেকে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পৌঁছান। সকাল সোয়া ১০টায় তিনি আশুগঞ্জ হোটেল উজান ভাটি থেকে গাড়ি বহর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
এর মধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর, সোনারামপুর, সরাইলের বেড়তলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকা থাকার পর আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ মোটরসাইকেলে করে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে পৌঁছান।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকসহ সড়ক সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।