রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ৬ ঘণ্টা অবরোধ
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাউজান উপজেলার কচুখাইন আহমদিয়া আল ইসলামিয়া আল হিকমা মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা সোহেল চৌধুরীকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে বাস চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এই হত্যার প্রতিবাদে আজ বুধবার ভোর থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে হাটহাজারীতে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধের কারণে সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ উপজেলা শাখা ।
জানা গেছে, নিহত হেফাজত নেতা মাওলানা সোহেল চৌধুরী সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার আব্দুল কাদের চৌধুরী বাড়ির আবুল মহসীন চৌধুরীর পুত্র। তবে তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পৌরসভার মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী রাউজান এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে হাটহাজারী ফেরার পথে ওই উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে পেছন থেকে আসা একটি দ্রুত গতির যাত্রীবাহী বাস (চট্টমেট্টো ঘ ১১-১৯৮৫) তার মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন হেফাজতের এই নেতা। পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ঘাতক বাসের চালক জানে আলমকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
এদিকে আজ সকাল ১০টার দিকে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদারের নেতৃত্বে হেফাজত নেতৃবৃন্দ ও রাঙ্গামাটি মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক শাহ আলম আলম, অর্থ সম্পাদক জামাল উদ্দিন কোম্পানির সঙ্গে হাটহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেল, হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিহত পরিবার থেকে কোনো মামলা করা হবে না এবং নিহত পরিবারকে রাঙ্গামাটি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিফলন দেওয়া হবে, এই সিদ্ধান্তের আলোকে মালিক সমিতি ও হেফাজত নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে যৌথ ব্রিফিং-এর মাধ্যমে ১১টা ২০ মিনিটে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।