আজ নায়ক জসীমকে হারানোর দিন

বিনোদন ডেস্ক
০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১০
শেয়ার :
আজ নায়ক জসীমকে হারানোর দিন

বাংলা সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র নায়ক জসীম। অ্যাকশনধর্মী সিনেমার অন্যতম পথ-প্রদর্শকও কিংবদন্তি এই অভিনেতা। আর দেশের দুর্দিনে অস্ত্র হাতে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে। আজ সেই কালজয়ী নক্ষত্রকে হারানোর দিন।

১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর আকস্মিক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন এই চিত্রনায়ক। তার অভিনীত বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্য-সংলাপ আজও দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কেটে আছে।

এফডিসিতে নায়ক জসীমের নামে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসীম ফ্লোর’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক করেন জসীম। যদিও এই অভিনেতার শুরুটা তারও অনেক আগে। শুরুর দিকে তিনি ‘এক্সট্রা আর্টিস্ট’ হিসেবে সিনেমায় কাজ করতেন। বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে জসীম নিজেই জানিয়েছিলেন। সেই এক্সট্রা আর্টিস্ট থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। দর্শকমহলে পরিচিতি পান ‘অ্যাকশন কিং’ হিসেবে।

অভিনয় করেছেন খলনায়ক হিসেবেও। এই ভূমিকায় তাকে দেখা গেছে ৭০টিরও বেশি সিনেমায়। আর নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ১২০টির বেশি সিনেমাতে।

তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে আছে- ‘দেবর’, ‘রংবাজ’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘কাজের বেটি রহিমা’, ‘মহেশখালির বাঁকে’, ‘বারুদ’, ‘বদলা’, ‘কসাই’, ‘বাহাদুর’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘দি রেইন’, ‘কুয়াশা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘স্বামী কেন আসামি’ ইত্যাদি।

নায়ক জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন সুচরিতা। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম নাসরিন। এই দম্পতির তিন ছেলে এ কে সামি, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুল। গত ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ব্যান্ডদল ‘ওন্ড’র ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী এ কে রাতুল। তিনি ছিলেন জসীমের মেজ ছেলে।