নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে ট্রাম্প কতটা এগিয়ে
চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম আগামী শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। তবে তার আগে প্রশ্ন উঠছে- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি এ বছর শান্তিতে পুরস্কার প্রাপ্ত হবেন?
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে এই পুরস্কার পাওয়াতে উপহাস করেছিলেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন- কেন ওবামাকে এটি দেওয়া হয়েছে?
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে যাই হোক না কেন, তিনি পুরস্কার পাবেন না, তবে অনেকেই তাকে মনোনীত করার বিষয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন।
আগস্ট ৮-এ আর্মেনিয়া ও আযারবাইজানের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পুরস্কার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এর জন্য রাজনীতি করছি না। কিন্তু আমার অনেক মানুষ আছে যারা করছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার শান্তি চুক্তি রেকর্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তবে এই বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় জানুয়ারি ৩১ ছিল। সম্প্রতি যারা ট্রাম্পকে মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সময়সীমার পরে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া জেনে রাখা প্রয়োজন যে, পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রম করলে তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না।
নোবেল কমিটি সাধারণত প্রকাশ করে না কে কোন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ তথ্য ৫০ বছর পরেই জানা যায়। তবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে যে কেউ, যিনি নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করেন, যেমন জাতীয় সরকারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অন্তত একজন কংগ্রেস সদস্য জানিয়েছেন যে, তিনি ২০২৫ সালের মনোনয়ন সময়সীমার আগে ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন।
গত ১১ ডিসেম্বর প্রতিনিধি ক্লাউডিয়া টেনি ঘোষণা করেন, তিনি ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে মনোনীত করেছেন শান্তি পুরস্কারের জন্য। মনোনয়নটি তাদের আব্রাহাম চুক্তি-এর কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে।
আব্রাহাম চুক্তি ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ তৈরি করে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস