মেঘনায় কোস্ট গার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা
বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের সদস্যদের ওপর জেলেদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ অংশে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম।
জানা যায়, উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম ও কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত ৭ জন জেলেকে আটক করে তাদের মধ্যে ৫ জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ এবং ২ জনকে অর্থদণ্ড করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস সিকদারের ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন জীবন সরদার, আব্দুর রহিম, মিরাজ হোসেন, সাদ্দাম, রায়হান পাটোয়ারী, বরকত উল্লাহ ও সুজন। তারা সকলেই মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া এলাকার বাসিন্দা।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘অবৈধ জাল দিয়ে মা ইলিশ শিকারের সময় মৎস্য অফিস ও কোষ্টগার্ডের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আমাদের অভিযানিক দলের ওপর ধারালো দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান জেলেরা। এসময় হামলায় অভিযানে ব্যবহৃত স্পীডবোর্ড ক্ষতিগ্রস্থসহ সিনিয়র মৎস্য অফিসার ও কোষ্টগার্ডের ৪ জন সদস্য আহত হন।’
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলার আওতায় মেঘনা নদী ফাঁকা পেয়ে একদল জেলে জাল ফেলে মাছ শিকার করতে থাকেন। খবর পেয়ে মৎস্য অফিসারের নেতৃত্বে অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে আসামাত্র তাদের ওপর হামলা চালান জেলেরা। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ২-৩টি ট্রলার নিয়ে ২৫-৩০ জন সশস্ত্র জেলে হামলা শুরু করেন এবং অভিযানিক দলের স্পিডবোর্ডের তলা ছিদ্র করে তলিয়ে দেন। স্পিডবোর্ড তলিয়ে যাওয়ায় মৎস্য অফিসারসহ কোষ্টগার্ড সদস্যরা সাঁতরে তীরে আসেন। এসময় তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তারা নিরাপদে ফিরে আসেন বলে মেঘনা তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান।
উল্লেখ্য, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য নদী ও সমুদ্রে মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।