শাটডাউনে সরকারি কর্মীদের বেতন ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যে বিতর্ক
চলমান সরকারি কার্যক্রম স্থগিত (গভর্নমেন্ট শাটডাউন) শেষ হওয়ার পর সব ফেডারেল কর্মীকে বকেয়া বেতন না দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ পদক্ষেপকে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওভাল অফিসে মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলব, এটা নির্ভর করে আমরা কার কথা বলছি তার ওপর। আমি এটুকু বলতে পারি-ডেমোক্র্যাটরা অনেক মানুষকে বিপদের মুখে ফেলেছে, কিন্তু আসলেই এটা নির্ভর করে আমরা কার বিষয়ে কথা বলছি তার ওপর।’
হোয়াইট হাউসের একটি খসড়া মেমোতেও এমন প্রস্তাবের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত রীতির সঙ্গে বড় ধরনের অমিল তৈরি করবে। কংগ্রেসে এই ধারণা ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি; এমনকি শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারাও বিষয়টি থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে তারা সরকারি কর্মীদের বকেয়া বেতনের পক্ষে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
হাউস স্পিকার মাইক জনসন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বকেয়া বেতনের পক্ষে।
তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস এই ‘হুমকি’ দিয়েছে মূলত ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। এর আগে প্রশাসন ফেডারেল কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাই ও ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্যের প্রকল্পের অর্থায়ন বাতিলের বিষয়টিও বিবেচনা করেছিল।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেননি, কোন শ্রেণির কর্মীরা বেতন পাবেন আর কারা পাবেন না। তবে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন, যাদের যত্ন নেওয়ার যোগ্যতা নেই।’
হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)-এর হালনাগাদ মেমোতে বলা হয়েছে, গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ি ফেয়ার ট্রিটমেন্ট অ্যাক্ট হয় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে অথবা এতে ঘাটতি রয়েছে। এই আইনের অধীনে এতদিন ধরে ধারণা করা হয়েছিল যে শাটডাউনের কারণে ছুটিতে থাকা সরকারি কর্মীরা পরবর্তীতে বকেয়া বেতন পাবেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
উল্লেখ্য, ট্রাম্প নিজেই ২০১৯ সালে ৩৫ দিনের দীর্ঘতম শাটডাউন শেষে এই আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন।