শিক্ষা ক্যাডারে বদলিতে আবেদন করা যাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠানে
বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন শৃঙ্খলা আনতে ১২ দফা সংশোধিত নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক একবার আবেদন করার পর তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আবেদন করতে পারবেন না। পাশাপাশি একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার সুযোগ থাকছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন নীতিমালা, ২০২০’ সংশোধন করে নতুন ‘সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ গত ৩০ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে ১২টি নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।
নির্দেশনামতে, প্রভাষক থেকে অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা বদলি বা পদায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। আবেদন করার আগে পিডিএস (চবৎংড়হধষ উধঃধ ঝযববঃ) হালনাগাদ করে নির্ধারিত ফর্মে অনলাইনে জমা দিতে হবে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (িি.িংযবফ.মড়া.নফ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (িি.িফংযব.মড়া.নফ) এবং ইএমআইএস (িি.িবসরং.মড়া.নফ) ওয়েবসাইটে নির্ধারিত লিংক ব্যবহার করতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত সব পদের বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে। আবেদনকারীর দাখিল করা আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান কর্তৃক অনলাইনে অগ্রায়ণ করতে হবে; কোনো আবেদন পেন্ডিং রাখা যাবে না। অনলাইনের বাইরে জমা দেওয়া বা উপস্থাপিত কোনো আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি ১৫ দিন অন্তর মন্ত্রণালয় বা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর আবেদনগুলো পর্যালোচনা করবে এবং উপযুক্ত আবেদন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। কোনো শিক্ষক একবার আবেদন করার পর তিন মাসের মধ্যে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না। একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রমে আবেদন করতে পারবেন।
অন্যদিকে, শুধু ক্যাডারভুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তারাই বদলিভিত্তিক পদায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা কোনো ক্যাডার পদে আবেদন করতে পারবেন না। প্রয়োজনে প্রশাসনিক স্বার্থে কর্তৃপক্ষ সারাদেশে কলেজসমূহে শূন্যপদ সৃষ্টি করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক তদবির, প্রভাব খাটানো বা আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি প্রদান অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। অসম্পূর্ণ বা হালনাগাদবিহীন পিডিএস সংযুক্ত আবেদনপত্র বাতিল হবে। বদলি ও পদায়ন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন:
ছায়ানটের বার্ষিক লোকসংগীত আসর
এই সংশোধিত নীতিমালার মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, বদলি প্রক্রিয়া হবে আরও স্বচ্ছ, ন্যায্য ও জবাবদিহিমূলকÑ যাতে শিক্ষকসমাজের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও অনিয়মের অবসান ঘটে।