ভারতে অনুপ্রবেশকালে পাচারকারী চক্রের সদস্যসহ আটক ২৪
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির হলদীগ্রাম বিওপির সদস্যরা অবৈধভাবে দালাল চক্রের সহযোগীতায় ভারতে অনুপ্রবেশকালে পাচারকারী চক্রের সদস্যসহ ২৪ জনকে আটক করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি এলাকার গজারী বাগান এলাকা থেকে বিজিবির টহল দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪টি সিএনজি ভর্তি ২৪ জন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার মো. মজিবুর রহমান (২৫), শাহরিয়ার ইমন (২১), ওয়াহিদ (৩৮), মো. কুরবান আলী (৪৫), মো. মিঠুন আলী (২৭), জয়নুল হোসেন (৩০), ইব্রাহীম (৩৩), আখতারুল (২৯), মো. মাহাবুর (৪৭), মো. শাকিল (২৯), মো. তারিফ (২৭), মো. মামুন (৪০), আসমাউল (১৮), ইয়াকুব আলী ও রাজশাহী জেলার তৌফিক ওমর (২৩), মো. আকবর (২৯), বিপ্লব হোসেন (১৯) এবং নাটোর জেলার মো. রতন আলী (৩৮)।
একই সময় আটক হওয়া সিএনজি চালকরা হলেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০), মো. ফারুক (৪০), ইমন (২০) ও সোলাইমান (৪০)।
সূত্রে আরও জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মানব পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা মহিদুল ইসলামের (৩০) জড়িত থাকার কথা বলেন। মহিদুল নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে, আরও দুইজন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটক মানব পাচারকারীরা হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মজনু মিয়া (৩৬) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মিলন হক (৩৫)।
উল্লেখিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে যাওয়ার জন্য দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করে। এ ছাড়া অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
বিজিবি জানায়, আটক পাচারকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাকি আটক ব্যক্তিদের অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান জানান, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোনো অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিনরাত বিজিবি তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সীমান্তে মাদক, চোরাচালানি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর নীতি অনুসরণ করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
