‘গাজায় গণহত্যা চলছে’ /
গ্রিসে পৌঁছে গ্রেটা থুনবার্গ
সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েল কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ার পর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আরও ১৬০ জন কর্মীর সঙ্গে গ্রিসে পৌঁছেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক্স-এ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে মোট ১৭১ জন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। এই জাহাজগুলো গত সপ্তাহে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। এর ফলে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, সোমবার এক ফ্লাইটে বহিষ্কৃত ১৬১ জন কর্মী-যাদের মধ্যে ২৭ জন গ্রিক ও ১৫টি দেশের ১৩৪ জন নাগরিক এথেন্সে এসে পৌঁছেছেন। খবরটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কথা উল্লেখ করে এথেন্স বিমানবন্দরে জনতার উদ্দেশে থুনবার্গ বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-গাজায় গণহত্যা চলছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তারা সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধও ঠেকাতে পারছে না।’
২২ বছর বয়সী এই কর্মী বলেন, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মাধ্যমে আমরা যা করতে চেয়েছিলাম, তা হলো আমাদের সরকারগুলো যখন তাদের আইনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তখন আমরা এগিয়ে গিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে, থুনবার্গকে আটক অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তুর্কি সাংবাদিক ও সুমুদ ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারী এরসিন চেলিক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, থুনবার্গকে মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নেওয়া হয় এবং ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করা হয়।
এদিকে, স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১০ জন সেখানে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে একজন স্লোভাক নাগরিক এবং বাকি ৯ জন নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।