ঈশ্বরদীতে খাজনা আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর রানাখড়িয়া তরিয়া মহালের খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদার দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ঘাট এলাকায় বেশ কিছু সময় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ দুইজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন পাকশী হঠাৎ পাড়ার বাবুল হালদারের ছেলে মো. সজিব হালদার (২৫) এবং মোহাম্মদ হোসেন আলীর ছেলে নিজাম হোসেন (৩০)।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নাফিজা খানম বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার সময় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে পাকশী কুষ্টিয়া এলাকার তরিয়া মহলের ইজারাদার মেসার্স এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজন রানাখড়িয়া তরিয়া মহাল ঘাটে টোল তুলছিল। এ সময় প্রতিপক্ষ কুষ্টিয়ার গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সহকারী পরিচালক খন্দকার সোহেলের লোকজন নদীপথে একটি স্পিডবোট ও দুইটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সশস্ত্র অবস্থায় ঈশ্বরদীর পাকশী হঠাৎপাড়া নদীঘাটে এসে গুলি শুরু করে। এ সময় দুজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মেহেদী পক্ষের একটি স্পিডবোট ও একটি নৌকা নিয়ে যায়।
এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বলেন, ‘কুষ্টিয়ার গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সহকারী পরিচালক খন্দকার সোহেল বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক পাকশী থেকে গোলন্দঘাট পর্যন্ত নৌ চ্যানেল ইজারাদার। রানাখড়িয়া তরিয়া মহালঘাটের আমি বৈধ ইজারাদার। আমার লোকজন এই ঘাটে টোল তুলছিল। এ সময় সোহেলের লোকজন একটি স্পিডবোট ও কয়েকটি নৌকা নিয়ে ঘাটে এসে আমাদের লোকজনের ওপর গুলি করে। ফিরে যাওয়ার সময় আমাদের একটি স্পিডবোট এবং একটি নৌকা নিয়ে যায়।’
নৌ-চ্যানেলের খাজনা আদায়কারী গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সোহেল খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে এটি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের লোকজন পদ্মা নদীতে তাদের সীমানায় খাজনা আদায় করে আসছিলেন। বারবার প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু কোনোরূপ সহযোগিতা না পাওয়ায় অবশেষে আজ এই রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে।’
ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ইজারাদারদের টোল আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে ঘাটে পুলিশের উপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’