আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে নারীর মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে শরীফা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে ছুরিকাঘাতের পর পালানোর চেষ্টাকালে লোকজন শরীফার সাবেক স্বামী আক্তার হোসেনকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
নিহত শরীফা আক্তার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার দেওথান গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, দশ বছর আগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের হেকিম মীর্জার ছেলে আক্তার হোসেনের সঙ্গে শরীফার বিয়ে হয়। তাদের সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। এক বছর ধরে পারিবারিক নানা বিষয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ছয় মাস আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে আক্তার তাঁর মেয়েকে নিজের হেফাজতে নিতে আদালতে মামলা করেন। আজ মামলার হাজিরার দিন ছিল।
পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েকে নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছিলেন শরীফা। এ সময় আক্তার পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করলে আদালত চত্বরে উপস্থিত লোকজন তাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশের কাছে ছুরিসহ তুলে দেন।
পরে আহত শরীফাকে দ্রুত ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীফার ছোট ভাই লিমন মিয়া বলেন, হাসপাতালে বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসকেরা বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ নেওয়া হয়েছে। তিনি বোনের হত্যার বিচার চান।
শরীফার চাচা মো. রিপন মিয়া বলেন, তার ভাতিজি স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ছয় মাস আগে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন। আজ সকালে ভাতিজি ও নাতনিকে নিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন। একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আকস্মিকভাবে আক্তার হোসেন এসে শরীফার পিঠে ছুরিকাঘাত করেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত আক্তার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে।
