ভুটান ও ভারত থেকে বাংলাদেশে ভেসে আসছে অসংখ্য গাছের গুড়ি
ভারত ও ভুটানের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়ায় ভারতের অভ্যন্তর থেকে কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসছে অসংখ্য গাছের গুড়ি।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভুটান ও ভারতের সীমান্তে থাকা বন থেকে পানির স্রোতে এসব গাছের গুড়ি ও আস্ত গাছ ভেসে আসছে। গাছের গুড়ির সাথে শেকড়সহ উপড়ে আসা গাছও পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল রবিবার বিকেল থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভেসে আসা এসব গাছ সংরক্ষণ করছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ঢলডাঙা, শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীর পাড় থেকে এসব গাছের গুড়ি তুলছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়াও সংযোগ একই হওয়ায় নাগেশ্বরীর দুধকুমর নদীতেও ভেসে আসছে এসব গাছের গুড়ি।
এসব গাছ সংরক্ষণ করছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন। ছবি: আমাদের সময়
নাগেশ্বরী কালিগন্জ ইউনিয়নের মোবারক, জুলহাস, আব্বাস আলী বলেন, ‘নদীতে আসা বেশিরভাগ গাছ শেকড়সহ ভেসে আসছে। আমাদের ধারণা হচ্ছে, ভারতের পানির স্রোতে বন থেকে উপড়ে আসছে গাছের গুড়ি গুলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুটান ও ভারতের সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা দিয়ে কালজানি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভুটান সীমান্ত ও ভারতের হাসিমারা ফরেস্ট থেকে এসব গাছের গুড়ি আসতে পারে। ভারতের কালজানি নদীর উজানে ভারতের হাসিমারা বনাঞ্চল রয়েছে। সেখানে পানি প্রবেশ করে এবং তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
কালজানি নদী এলাকার মনিরুজ্জামান, নুরুল, আল আমিন বলেন, ‘পানির ওপরে খালি গাছ আর গাছ। মাঝে মধ্যে মরা গরুও আসতেছে।’
ঘাটিয়াল আবু সাইদ জানান, রবিবার বিকেল থেকে গাছগুলো আসছে। এলাকাবাসী যে যেভাবে পারে সেগুলো তুলছেন।
ভুরুঙ্গামারী শিলখুড়ি ইউনিয়নের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, ‘কালজানি নদীর স্থানীয় লোকজন নৌকা দিয়ে এবং সাঁতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছের গুড়িগুলো টেনে আনছে তীরে। সম্ভবত এ সব গাছ ভারতের হতে পারে।’