গাজা নিয়ে আলোচনায় থাকছেন যারা
অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ছাড়াও এতে যোগ দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারাও। রয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গতকাল রবিবার হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দিয়েছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান মধ্যস্থতাকারী খলিল আল-হায়া। গত মাসে তিনি ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের জামাত জ্যারেড কুশনার ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান আল থানিও যোগ দিবেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যোগ দিচ্ছেন দেশটির মন্ত্রী রন ডার্মার। ৫৪ বছর বয়সী রন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অত্যন্থ ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত উপদেষ্টার মধ্যে একজন বলে মনে করা হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর এই আলোচনাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, যাতে করে সংঘাত অবসানের একটি পথ বের করে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়। অনেক ফিলিস্তিনির কাছে হামাসের প্রতিক্রিয়া ছিলো অপ্রত্যাশিত। কয়েকদিন এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিলো যে হামাস শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করবে বা কমপক্ষে শক্ত কিছু শর্ত দিবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আলোচকদের মিশরের শারম এল-শেখের রিসোর্টে জড়ো হয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল সোমবার মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-হাইয়ার দল ‘যুদ্ধবিরতি, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার ও বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প শনিবার মিশরে দুজন দূত-তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান আলোচক স্টিভ উইটকফকে পাঠিয়েছেন।