কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির প্রত্যাশা নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৫
শেয়ার :
কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির প্রত্যাশা নেতানিয়াহুর

গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। 

নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস নিরস্ত্র হবে এবং গাজা বেসামরিকীকরণ হবে-সহজ হোক আর কঠিন হোক, এটি অর্জিত হবেই।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনায় সম্মত হয়ে হামাস শুক্রবার বিবৃতি দেওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস যে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চেয়েছে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। 

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে পুরোপুরি রাজি হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিলম্ব সহ্য করবেন না।ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, ‘হামাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে...চলুন দ্রুত কাজটি করি।’

পরে তিনি আরেক পোস্টে জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

এর আগে হামাস ঘোষণা দিয়েছিল, মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ট্রাম্প হামাসের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ও ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বলেছেন।

তবে এরপরও গতকাল ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, এসব হামলায় অন্তত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘সামরিক ও কূটনৈতিক চাপের মুখে জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি, আগামী কয়েক দিনে আমরা আমাদের সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’

আগামীকাল সোমবার থেকে ইহুদিদের সুক্কোত উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে, যা এক সপ্তাহ চলবে। এই উৎসবের মধ্যেই জিম্মিদের ঘরে ফেরাতে পারবেন বলে আশাবাদী নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার প্রতিনিধিদের কৌশলগত বিস্তারিত বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য মিসরে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে মিসরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে হামাসের একটি প্রতিনিধিদলও আলোচনার জন্য সেখানে উপস্থিত হবে।ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, সেখানে বন্দীবিনিময়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।