স্ত্রী-শাশুড়ি মিলে যুবককে হত্যাচেষ্টা, খোঁড়া হয়েছিল কবরও
প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি মিলে এক যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দিবারাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঠান্ডু বেপারী (৩৫) সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার বেপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার জমানো ১১ লাখ টাকা ছিল। সেই টাকা গুলো আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই হত্যাচেষ্টা হয়েছে জানা গেছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদি শাশুড়ি জনকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়।
তবে মুখে দাড়ি থাকায় গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেপারী বেঁচে যান। পরবর্তীতে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি বলেন, ‘প্রথামকিভাবে জানা গেছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্ির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাও।র