ড্রোন আতঙ্কে আবারও বন্ধ জার্মানির বিমানবন্দর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৫৪
শেয়ার :
ড্রোন আতঙ্কে আবারও বন্ধ জার্মানির বিমানবন্দর

ড্রোন দেখা যাওয়ার কারণে টানা দ্বিতীয় দিন জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার এই বিমানবন্দর বন্ধের ফলে ডজনেরও বেশি ফ্লাইট এবং ৬ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিপাকে পড়েন। 

অজ্ঞাত ড্রোনের কারণে সম্প্রতি ডেনমার্ক, নরওয়ে ও পোল্যান্ডের বিমানবন্দরগুলো ফ্লাইট স্থগিত করেছে। অন্যদিকে রোমানিয়া ও এস্তোনিয়া এ জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। যদিও রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মিউনিখ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ড্রোন দেখা যাওয়ার কারণে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং পরে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিমানবন্দরটিতে ২৩টি আগত ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয় ও ১২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

বিমানবন্দর থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪৬টি ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব হয়েছে, যার ফলে মোট ৬ হাজার ৫০০ যাত্রী বিপদে পড়েছেন।

পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘রাত ১১টার কিছু আগে উত্তর ও দক্ষিণ রানওয়ের কাছে পুলিশের টহল দলের মাধ্যমে ড্রোন দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘ড্রোনগুলো সঙ্গে সঙ্গে সরে যায়, তাই সেগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।’

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘বিমানবন্দরটি বিমান সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় ‘আগের রাতের মতোই এ রাতেও যাত্রীদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কম্বল, পানীয় ও খাবারের সাথে ক্যাম্প বিছানা সরবরাহ করা হয়।’  

আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টা থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের প্রথম ঘটনার ফলে ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয় এবং প্রায় ৩ হাজার যাত্রী সেখানে আটকা পড়েন।

প্রথম ড্রোনটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরের আশেপাশের ফ্রাইজিং এবং এরডিং শহরে দেখা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরডিং শহরে জার্মান সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। 

বিল্ড পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু ড্রোন ঘাঁটির উপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।

প্রথম ড্রোন বিমানবন্দরের সীমানার কাছে দেখা যায় রাত ৯টা ৫ মিনিটে। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পর বিমানবন্দর চত্বরে দেখা যায়।

মধ্যরাত পর্যন্ত এই দৃশ্য চলতে থাকে, যার ফলে দু’টি রানওয়ে বন্ধ রাখতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ‘পুলিশ হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু ‘ড্রোনের ধরণ ও সংখ্যা সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’