গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা আটক /

বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩২
শেয়ার :
বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত

গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মানবিক সহায়তাবাহী ফ্লোটিলা আটকানোয় বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত নানা প্রান্তে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলবিরোধী স্লোগানে রাস্তায় নামেন এবং দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান।

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এ বহরটি গত মাসে বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে ইসরায়েলের গাজা অবরোধকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনী বুধবার থেকে ফ্লোটিলার ৪১টি জাহাজ ও ৪০০-এর বেশি যাত্রীকে থামিয়ে দেয়। এর মধ্যে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা ও বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কলাও। ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃতদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মিছিল করেন। দেশটিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনকে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

ডাবলিনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মিরিয়াম ম্যাকন্যালি জানান, তার মেয়ে ফ্লোটিলার সঙ্গে যাত্রা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মেয়ের জন্য ভীষণ উদ্বিগ্ন, কিন্তু একই সঙ্গে গর্বিতও। সে মানবতার পক্ষে ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়েও দাঁড়িয়ে গেছে।’

স্পেনের বার্সেলোনায় ইসরায়েলের গাজা অবরোধবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ। মিছিলকারীরা স্লোগান দেন- ‘গাজা, তুমি একা নও’, ‘ইসরায়েল বয়কট করো’ এবং ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই’।

স্প্যানিশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচারে দেখা যায়, একদল বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে দাঙ্গা পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রায় এক হাজার মানুষ রিপাবলিক স্কয়ারে বিক্ষোভ করেন। দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেই বন্দরে শতাধিক প্রো-ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা অভিযোগ করেন, অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ইউরোলিংকস’ ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

এ ছাড়া বার্লিন, দ্য হেগ, তিউনিস, ব্রাসিলিয়া ও বুয়েনস আয়ার্সেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।