মেঝেতে ব্যবসায়ীর মরদেহ, ছেলে ও পুত্রবধূ পলাতক
খুলনায় বাবাকে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। নিহত বাবার নাম লিটন খান। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা বসুপাড়ার বাঁশতলা মোড়ে বরকতিয়া মসজিদ এলাকায় নিজ বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে লিটন খানের স্ত্রী অফিসে চলে গেলে বাড়িতে তাদের ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন ও পুত্রবধূ স্ত্রী চাদনী ছিলেন। রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে দরজায় তালা দেখতে পান লিটনের স্ত্রী। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলে তিনি মেঝেতে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় লিটনের গলায় ওড়না পেঁচানো, গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং পাশে রক্তমাখা বটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার পর থেকেই নিহতের ছেলে লিমন ও তার স্ত্রী চাদনী পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনার ৪ দিন আগে নিহতের ছেলে স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন বলে জানা যায়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, লিটন খান সম্প্রতি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই টাকা থেকে ছেলে লিমন ২০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ায় বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। রাতে লিটন খান বাসায় একা ছিলেন। সুযোগটি কাজে লাগান ছেলে লিমন ও তার স্ত্রী চাঁদনী। প্রথমে তারা লিটন খানকে গলায় ফাঁস দেন। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে বাবাকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো বটি উদ্ধার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।