ঢাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে বেড়িয়েছি: পূজা
জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও নির্দেশক পূজা সেনগুপ্ত। গড়ে তুলেছেন 'তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার' ও 'তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স'। এখানে নিয়মিত নাচের চর্চা ও পারফরমেন্সের সুযোগ পাচ্ছেন নৃত্যশিল্পীরা।
নাচ নিয়ে পূজা এরিমধ্যে ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের বহু দেশে, নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের মেয়ে হলেও ঢাকাতেই বাস করেন পূজা সেনগুপ্ত। ফলে দুর্গাপূজা উদযাপনও রাজধানীতেই হয় তার। এবারের উৎসবটা কেমন কাটলো তার? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম পূজার সময়টাতে। তাই সব আনন্দ ভাগাভাগি করেছি আমার দুই পরিবারের সাথে। একটি নিজের পরিবার-পরিজন, অন্যটি নাচের দলের সদস্যরা। প্রতিবছরই একটি দিন আমার নাচের স্কুল তুরঙ্গমীর সবাই মিলে আনন্দ করি। বাকি সময়টা আমার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে ভাগ করে নেই।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে বেড়িয়েছি। বনানী পূজামণ্ডপ, জগন্নাথ হল, খামারবাড়ি, উত্তরার অনেক মন্দিরেই গিয়েছি। আজ দশমীর দিনে বনানী পূজামণ্ডপে আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। এমনকি বিসর্জনেও অংশ নিয়েছি। তবে মাকে হারানোর পর পূজার আনন্দটা একটু ম্লান হয়ে গেছে। জীবন আসলে চলমান। আমাদের চারপাশে যারা আছেন, তাদের জন্য আমাদের ভালো থাকতে হয়।
প্রসঙ্গত, পূজা রেপার্টরি ডান্স থিয়েটার ‘তুরঙ্গমীর’ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের নাচের নিজস্ব ধারা নির্মাণ ও নাচে পেশাদারিত্ব অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘তুরঙ্গমী’। পোর্টেবল স্পিকার এই শিল্পীর নির্দেশিত ড্যান্স থিয়েটার ও কোরিওগ্রাফিগুলোর মধ্যে ‘ওয়াটারনেস’, ‘অনামিকা সাগরকন্যা’, ‘নন্দিনী’, ‘হোচিমিন’, ‘অদম্য’, ‘ধরা তরু কাব্য’, ‘অরণ্যা’, ‘রেজুলিউশন’ অন্যতম। হোচিমিন প্রযোজনার জন্য পূজা সেনগুপ্তকে ভিয়েতনাম সরকারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘ফ্রেন্ডশিপ মেডেল’ দেয় ২০২২ সালে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট