‘ধর্ষণ’ মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীর পরিবারের ওপর হামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন মামলার বাদীর পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে ২০২৪ সালের ২৫ জুন রাতে এক শিশুকে পাশ্ববর্তী একটি সিএনজি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন। এ ঘটনায় ২৮ জুন ভূক্তভোগীর খালা বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফের পরিবার ওই ভূক্তভোগী শিশুর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেলে বাদীর ভাতিজি রহিমা আক্তারকে অভিযুক্ত মারুফের বাবা মাসুম মিয়া মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মাসুম মিয়ার নেতৃত্বে মো. খোকন, মারুফ, সাইমা আক্তারসহ ৮-১০জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।
এ সময় বাদীর বোন গ্রাম পুলিশ সদস্য শাহনাজ বেগম, ভাগিনা বাবু মিয়া ও ১১ বছর বয়সী হোসাইন মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মোসাৎ তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তানিয়া আক্তার জানান, মামলা তুলে না নেওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় তাদের ওপর হামলা করে অভিযুক্তরা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত মাসুম মিয়া দাবি করেন তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, ‘হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’