মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৫৮
শেয়ার :
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সভাকক্ষে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি অসহায় একজন মানুষ, প্যারাগণ হসপিটালে সামান্য একটি চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহম্মদ আলী আমার মেয়েকে তার অফিস রুমে ডেকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে হত্যার ভয় দেখায়। ভয়ে আমার মেয়ে কাউকে কিছু বলে না। হঠাৎ গত ৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এরপর আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পর জানতে পারি এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। বর্তমানে আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে শারিরীক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নৈতিকতা ও শালীনতার প্রতীক হওয়ার কথা। কিন্তু তার কাছ থেকে এ ধরনের জঘন্য আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনা শুধু আমার মেয়ের মানসিক ও সামাজিক জীবনে আঘাত করেনি, বরং গোটা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার এই প্রিন্সিপাল নিজেকে জামায়াতের বড় নেতা বলে পরিচয় দেয়। আমি তার বিচার চাই, তার পদত্যাগ তাই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও রাজনৈতিক চরিত্রার্থ করার জন্য কোনো একটি মহল ইন্ধন যোগাচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনার জানার পর হাসপাতালে গিয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’