ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও গাজার দিকে যাচ্ছে ত্রাণবাহী ৩০ নৌযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৫
শেয়ার :
ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও গাজার দিকে যাচ্ছে ত্রাণবাহী ৩০ নৌযান

ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ ও ধরপাকড়ের পরও ফিলিস্তিনের গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। বর্তমানে গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে নৌযানগুলো অবস্থান করছে বলে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছে ফ্লোটিলা। 

রয়টার্স ও আল জাজিরা জানিয়েছে, এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান রয়েছে, যেগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বহরে বাধা দেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।এ সময় অন্তত আটটি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল-দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। 

যদিও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী মোট ১৩টি নৌযান থামিয়েছে।এ সময় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করেছে তারা। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। 

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামানো হয়েছে এবং আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা থুনবার্গ ও তার সহযোগীরা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়।

এদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে এই নৌবহরের সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিগত প্রায় দুই বছরে সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্যসংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে অনাহার-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।