রংপুরে আরও ৩ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত
রংপুরের কাউনিয়ায় দুইজন ও মিঠাপুকুর উপজেলায় একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে পীরগাছা উপজেলায় ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে কৃষক ইব্রাহিম মিয়ার একটি গরু অসুস্থ হয়। পরে সেটি জবাই করা হলে আশপাশের লোকজন মাংস কাটাকাটি করেন। ঘটনার দুই দিন পর স্থানীয় সোহরাব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মনির হোসেন ও মজিবর রহমানসহ কয়েকজন চর্মরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। পরে এদের মধ্যে একজন অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলায় আরও ২ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে হঠাৎ করে পীরগাছায় একের পর এক গবাদি পশুর মৃত্যু হতে থাকে। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের। পরে রোগের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছায় গিয়ে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়। পরে আরও ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআরে পাঠানো হয়।