ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করবে বিএনপির

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০১ অক্টোবর ২০২৫, ২২:৪১
শেয়ার :
ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করবে বিএনপির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলে জানালেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ‘আমরা অনেক বড় কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি। নির্বাচনে যদি জনগণ আমাদের রায় দেয়, শিল্পখাতে যে চাকরি কর্মসংস্থান হারানো গিয়েছে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন খাতে কত আত্মকর্মসংস্থান হবে, তার ওপরে বিস্তারিত কাজ করেছি। কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ একটি নির্বাচিত সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের কাছে যাদের দায়বদ্ধতা থাকবে, জবাবদিহি থাকবে।’

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি তো কেউ চাইতেই পারে, এটা তাদের অধিকার আছে। কিন্তু এটা তো বিএনপির দেওয়ার বিষয় না, অন্য দলেরও দেওয়ার কিছু নেই। কেউ যদি কিছু চায়, আমরা যেখানে ঐকমত্য হয়েছি, তার বাইরেও কেউ যদি কিছু চায় তার অধিকার আছে। সেটা করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেটা সংসদে নিয়ে আসতে হবে।’

আমির খসরু মাহমুদকে স্বাগত জানান কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল ও কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় ও কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের অন্যান্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন প্রমুখ।

পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বজরায় চড়ে লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।