ফোন ধরে নেতানিয়াহুকে কাতারের কাছে ক্ষমা চাওয়ালেন ট্রাম্প!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২১
শেয়ার :
ফোন ধরে নেতানিয়াহুকে কাতারের কাছে ক্ষমা চাওয়ালেন ট্রাম্প!

কাতারের দোহায় বোমা হামলার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত সোমবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে ক্ষমা চান তিনি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে ওভাল অফিস থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করেন এবং নেতানিয়াহু টেলিফোনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ ছাড়া হোয়াইট হাউস থেকে সাদা-কালো একটি ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছবিতে দেখা যায়, ট্রাম্প ফোন ধরে আছেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী স্ক্রিপ্ট থেকে কিছু পড়ছেন।

ট্রাম্প ফোন ধরে আছেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী স্ক্রিপ্ট থেকে কিছু পড়ছেন। ছবি: সংগৃহীত


হোয়াইট হাউস এক বিবৃতে জানায়, নেতানিয়াহু হামলার জন্য কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে 'শান্তি আলোচনার সময় হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল কাতারের  সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।'

হোয়াইট হাউস আরও জানায়, নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেছেন, 'ইসরায়েল ভবিষ্যতে আর কখনো এই ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করবে না।'

“কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখতে কাতার সবসময়েই প্রস্তুত।”

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সোমবার এক বার্তায় টেলিফোনে আল থানি ও নেতানিয়াহুর ফোনালাপের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফোনালাপে নেতানিয়াহু এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি যোগাযোগ ও তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায়ও সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর বিকেলের দিকে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আবাসিক ভবনে বিমান অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই ভবনটিতে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া এবং গোষ্ঠীটির অন্যান্য নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্পের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

খলিল আল হায়া এবং হামাসের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালিয়েছিল আইডিএফ। হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে একজন কাতারি নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। তবে খলিল কিংবা হামাসের অন্য কোনো জ্যেষ্ঠ নেতার কোনো ক্ষতি হয়নি।