১৫ বছর পর উদ্ধার ‘ঊনাদিত্য’, প্রকাশ্যে এল ট্রেলার (ভিডিও)

বিনোদন ডেস্ক
০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫৪
শেয়ার :
১৫ বছর পর উদ্ধার ‘ঊনাদিত্য’, প্রকাশ্যে এল ট্রেলার (ভিডিও)
ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ১৫ বছর আগে রাজীবুল হোসেন নির্মাণ করেছিলেন ‘ঊনাদিত্য’। ছবিটির হার্ডডিস্ক চুরি হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি তা খুঁজে পেয়েছেন। নতুন করে এডিট করেছেন এবং ট্রেলার মুক্তি দিয়েছেন। এতে অভিনয় করেছেন রুনা খান, সমু চৌধুরী, মাহদী মইনুল, রাকীবুল হোসেন, জয় রাজ, নওশের, রানা। প্রযোজনা করেছে এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বাংলাদেশ।

রাজিবুল হোসেন বলেন, বালুঘড়ি ও ঊনাদিত্য বাংলাদেশের ডিজিটাল মাধ্যমে নির্মিত প্রথমদিকের সিনেমা। সম্প্রতি এগুলো নতুন করে রি-মাস্টারিং করা হয়েছে। দর্শক এখন ঊনাদিত্য সিনেমাটি ফাইভকে রেজল্যুশনে ৫.১ ডিজিটাল ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে উপভোগ করতে পারবেন।

চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্র খালিদ সৈকত একজন তরুণ আলোকচিত্রী, যিনি এক অজানা ওরাও গ্রামে এসে পৌঁছান। সেখানে তার দেখা হয় এক রহস্যময় চরিত্র অরুণ খালকো’র সাথে—যিনি ওরাঁও সম্প্রদায়ের হলেও ধর্মান্তরিত হয়ে মিশনারি চার্চের ব্রাদার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গী শুক্রা, এবং গ্রামে চলছে ফাগুয়া উৎসবের প্রস্তুতি। কিন্তু উৎসবের আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর সংস্কৃতি ও পরিচয়ের সংকট।

অরুণ চায় ওরাও সমাজে পরিবর্তন আনতে—স্কুল, কৃষিখামার, হাসপাতাল গড়ে তোলার স্বপ্ন তার। অথচ নিজের ধর্মান্তরিত পরিচয়ের কারণে সে নিজ সমাজে বিচ্ছিন্ন। আরতি, এক শিক্ষিকা, একইসাথে অরুণের প্রতি আকৃষ্ট, আবার নিজের সংস্কৃতির প্রতিও একনিষ্ঠ।

খালিদ শুধু একজন দর্শক হয়ে এই সংস্কৃতি ও সংকটকে পর্যবেক্ষণ করে—কোনো হস্তক্ষেপ করে না। তার ভেতর জন্ম নেয় প্রশ্ন—সত্য কি আদৌ ধরা পড়ে ছবির ফ্রেমে, নাকি তা চিরকালই থেকে যায় ফ্রেমের বাইরে?

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার লাভ করে। এরপর এটি থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০০৯ (মুম্বাই) এবং হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০০৯ (ঢাকা)-তে প্রদর্শিত হয়।