দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যাওয়ায় বিতণ্ডা, যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার প্রথম স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিনের (৩২) বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার জগতপুর গ্রামের গফুর ভান্ডারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আলমগীর হোসেনের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত খালেদা ইয়াসমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
নিহত আলমগীর হোসেন ওই এলাকার গফুর ভান্ডারী বাড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন দুই বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ ঘরে তাদের এক ছেলে রয়েছে। পরে আলমগীর হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গতকাল সোমবার রাতে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে গিয়েছেন। সেখানে তার থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথম স্ত্রী ইয়াসমিনের ঘরে গেলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে ইয়াসমিন ঘরে থাকা দা দিয়ে আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান।
স্বামীকে হত্যার পর সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন ইয়াসমিন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিনি তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দাগনভূঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’