পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মডেল মেঘনা
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মামলায় আলোচিত মডেল ও লিডারশিপ ট্রেইনার মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মেঘনা আলমের আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ। তবে আদালত মেঘনা আলমের মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কিনা তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এসবের ফরেনসিক রিপোর্ট করার আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার আসামির মোবাইল ও ল্যাপটপের ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও রিপোর্ট জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। রিপোর্ট জমা দেওয়া হলে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মেঘনা আলমের এসব জিনিস ফেরত দেওয়া বা জব্দের আদেশ দেওয়া হবে। আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মেঘনা আলমের জব্দকৃত জিনিসের মধ্যে রয়েছে- পাসপোর্ট, আইফোন-১৬ প্রো, ম্যাকবুক, অপো মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এ বিষয়ে মেঘনা আলমের আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ বলেন, ‘মেঘনা আলম একজন লিডারশিপ ট্রেইনার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়ই তাকে দেশের বাইরে যেতে হয়। এজন্য আমরা প্রথমে তার পাসপোর্টটি ফেরত দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আজ শুনানি করেছি। তবে আদালত পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়।
মেঘনা আলম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু’তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন- এমন অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তারা।