‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভারতের ভিসা জটিলতা কমে যাবে’
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভারতের ভিসা জটিলতা কমে যাবে।’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার প্রাচীন রনদা প্রসাদ সাহা দূর্গা মন্দির পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে কুমুদিনী হোমসের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
পরিদর্শন শেষে হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে। ভিসা জটিলতা অতি শিগগিরই সমাধান হবে। বর্তমানে মেডিকেল ভিসা চালু আছে।’
এদিন কুমুদিনী হোমস কর্তৃপক্ষ হাইকমিশনারকে মন্দিরের ইতিহাস ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ‘এ সফর দুই দেশের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা সুদৃঢ় করবে।’
প্রণয় ভার্মা কুমুদিনী চত্বরে পৌঁছালে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক মহাবীর পতি ও ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ মন্দিরা চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান। তিনি কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা-চক্র শেষে বজরা নৌকায় লৌহজং নদ পার হয়ে রণদার বাড়ির পূজামন্ডপ পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আরতি উপভোগ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম, কুমুদিনী হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক প্রমুখ ।
এর আগে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী রণদা পূজামন্ডপ পরিদর্শনে আসেন। তারাও মন্ডপে আরতি উপভোগ করেন।