‘দেশকে বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নাই’
দুর্নীতি ও খুনিদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নাই উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি চালু হলে একটি সুষম সংসদ তৈরি হবে, যা বিশ্বের ৯১টি দেশে চালু আছে এবং নতুন করে আরও অনেক দেশ সেই দিকে ঝুকছে।’
গতকাল সোমবার বিকেলে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন পিরোজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, স্বৈরাচার খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে অনেক শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে,পঙ্গু হয়েছে, চোখ হারিয়েছে কি জন্য, একটি সুন্দর দেশ পাবার জন্য। কিন্তু প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার দৌরাত্ব, ভোট জালিয়াতি, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার ও চাঁদাবাজির জন্ম দিবে। তাই এই নির্বাচন পদ্ধতি আর দেশের মানুষ দেখতে চায় না।’
পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারী মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কয়েকটি মৌলিক দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের ৭১ শতাংশ মানুষই পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন। অতএব নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন করে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের দৃশ্যমান বিচার করে একটি সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
এদিন গণ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, পিরোজপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল আহসান, পিরোজপুর-২ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মো. আবুল কালাম আজাদ, যুব আন্দোলনের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক।