নিউইয়র্কে দেওয়া ডা. তাহেরের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: জামায়াত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় দেওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের বক্তব্যকে বিকৃত করে দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছে দলটি।
আজ সোমবার এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের প্রদত্ত বক্তব্যকে বিকৃত করে দৈনিক ইনকিলাব ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় “বাংলাদেশে ভারতের আক্রমণ চায় জামায়াত” শিরোনামে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গোটা প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও মনগড়া এবং জামায়াতে ইসলামী ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এই বানোয়াট প্রতিবেদনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসী জানেন যে, ভারতের বিএসএফ নিয়মিতভাবে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা করছে এবং জোরপূর্বক ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে এবং ভারতের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিচ্ছে। এই বক্তব্যকে বিকৃত করে ভিন্ন অর্থ আরোপ করার কোনো সুযোগ নেই।’
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘জনাব জাহেদ উর রহমানের বরাত দিয়ে ভারতীয় গবেষক শ্রীরাধা দত্তের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতকে প্রো-ভারত দল আখ্যা দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও মনগড়া। একইভাবে “জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কখনো শরিয়া আইন আনবে না” ইনকিলাবের প্রতিবেদনে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নামে প্রকাশিত এই কথাও সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি কখনো এ ধরনের মন্তব্য করেননি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি আরও বলেন, ‘একটি জাতীয় দৈনিক হিসেবে ইনকিলাবের এ ধরনের কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। উল্টো দৈনিক ইনকিলাবের বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট হবে। আমি ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আশা করি তারা এই প্রতিবাদ যথাস্থানে প্রকাশ করে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের সুযোগ দেবেন।’