অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড /
জোকার রাজ্যে আপনাকে স্বাগতম (ভিডিও)
‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’। যারা প্রথম ও দ্বিতীয় সিজন দেখেছেন তাদের অপেক্ষার পালা শেষ করে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে সিজন থ্রি। আর যারা নতুন জেনেছেন এই সিরিজটা আবার কী? তাদের জন্য গল্পটা হচ্ছে, সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার সিরিজের কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র আরিসু ও উসাগি আটকে পড়ে টোকিও শহরের প্যারালাল ভার্সনে।
সেখানে বিচিত্র সব খেলায় অংশ নিতে হয় তাদের। খেলা শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে তারা। বিয়েও করে। একদিন হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় উসাগি। আর তাকে খুঁজে বের করতে আবারও সেই গেমের জগতে প্রবেশ শুরু করে সবাই।
গত বৃহস্পতিবার নেটফ্লিক্সে সিজন থ্রি মুক্তির পর থেকেই ওয়েব সিরিজ প্রেমিদের রাতের ঘুম উধাও হয়ে গেছে। কারণ ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’র প্রথম ও দ্বিতীয় সিজন দেখার পর মোটামুটি লম্বা একটা গ্যাপ পড়ে। তাই সবার নজর ছিল কবে নাগাদ মুক্তি পাবে এই সিরিজটির নতুন সিজন। বলা চলে এই সিরিজটিকে অনেকেই স্কুইড গেম থেকেও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করেছেন। তবে অনেকটা ভালো কাজ করেও গুরুত্ব না পাওয়া মানুষদের মতোই ছিল এর প্রচারণা। কিন্তু এখন তা আর নেই। ইতোমধ্যেই ওয়েব প্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে এই সিরিজটি। সিজন থ্রি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
বর্ডারল্যান্ডের দ্বিতীয় সিজন শেষ হয়েছিল হাসপাতালের বারান্দায়। যেখানে ভর্তি থাকা আরিসু (কেন্তো ইয়ামাজাকি) ও উসাগি (তাও তসুয়া) তাদের গেমের স্মৃতি ভুলে গেছে। একে অপরের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
তৃতীয় সিজনের গল্প নিয়ে যাদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে দেখার। তাদের জন্য গল্পটা শুরু হয়েছে টোকিওর বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের দৃশ্যের মধ্য দিয়ে। যেখানে সুখী পরিবার গড়ে তুলেছে আরিসু ও উসাগি। আরিসু কাজ করছে একটি ক্লিনিকে, আর উসাগি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকানে। ঘটনা চক্রে এক সময় তারা আবার বর্ডারল্যান্ডে ফিরে যায়।
আগের সিজনগুলোতে তাসের কার্ডের সংখ্যা ও স্যুট (হার্ট, ডায়মন্ড, ক্লাব, স্পেড) খেলার জটিলতা ও ধরনের ইঙ্গিত দিতো। কিন্তু তৃতীয় সিজনের গেমে এমন অনুমান করার সুযোগ নেই। এখানে কোনো ইঙ্গিত ছাড়া হঠাৎই গেম সম্পর্কে নির্দেশনা ও খেলোয়াড়দের দলে ভাগ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
বর্ডারল্যান্ডে যাওয়ার পর আরিসু ও উসাগি তাদের বাস্তব জগতে দাম্পত্য জীবনের কথা ভুলে যায়। পৃথক দলের হয়ে গেমে অংশ নেয়। কেবল চূড়ান্ত গেমে গিয়ে তারা একত্রিত হয়। যেখানে বাকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের রাখা হয় ১৬ কক্ষের একটি ভবনে। সেখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় ১৫ পয়েন্ট (কবজিবন্ধনীতে থাকা আয়ু পরিমাপক)। একটি ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতে প্রতিবার দরজা খোলার জন্য ১ পয়েন্ট খরচ হয়। বর্ডারল্যান্ডের তৃতীয় সিজনের শেষ এপিসোডে এসে ইঙ্গিত পেতে পারেন চতুর্থ সিজনের।
জাপানি জনপ্রিয় এই ওয়েব সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ইয়োশিকি ওয়াতাবে, ইয়াসুকো কুরামিত্সু ও শিনসুকে সাতো। পরিচালনা করেছেন শিনসুকে সাতো।
এতে অভিনয় করেছেন কেন্টো ইয়ামাজাকি, তাও সুচিয়া, ইউকি মরিনাগা, কেইতা মাচিদা, আয়ামে মিসাকি, নিজিরো মুরাকামি, ইউতারো ওয়াতানাবে, শো আয়াগি, আয়াকা মিয়োশি, দরি সাকুরাদা, আয়া আসাহিনা, শুনতারো ইয়ানাগি, মিজুকি ইয়োশিদা, কিনা ইয়াজাকি, সুয়োশি আবে, নোবুয়াকি কানেকো, রিসা নাকা, তোমোহিসা ইয়ামাশিতা, আয়ুমি তানিদা, হায়াতো ইসোমুরা, কাই ইনোওয়াকি, কাতসুয়া মাইগুমা, হনামী সাতো, ইউরি সুনেমাতসু, চিহিরো ইয়ামামতো, জুন হাশিমোতো, আইমি সাতসুকাওয়া, ওয়াকাতো কানেমাতসু।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’