নুরাল পাগলের মরদেহে পোড়ানোর মামলায় ড্রাইভার গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৩
শেয়ার :
নুরাল পাগলের মরদেহে পোড়ানোর মামলায় ড্রাইভার গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও রাসেল মোল্যা হত্যা মামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. রাসেল মণ্ডল (২০) নামে একজন ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার খদিরাম সরকার পাড়া পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘নুরাল পাগলের দরবার থেকে চুরি, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারামারি মামলায় মরদেহ পোড়ানোর ফুটেজ দেখে রাসেল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ১৬জন ও দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের মামলায় ১১ জনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’ 

জানা গেছে, নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লাকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, মরদেহ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি, জখমের অভিযোগে নিহতের বাবা আমজাদ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০-৪০০০ জনকে আসামী করে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়ালন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলার দরবার শরীফে। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। সংঘর্ষে রাসেল মোল্যা নামে নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে তা পুড়িয়েও দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।