গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলের রাজপথে হাজারো মানুষ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের প্রাক্কালে গাজা যুদ্ধের অবসানে একটি চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল শনিবার তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’ জড়ো হন ইসরায়েলিরা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ সমবেত হয়ে একটি বড় ব্যানার প্রদর্শন করে। ব্যানারটিতে লিখা ছিল— ‘সকল জিম্মিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আন।’
গাজায় বন্দী থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশাই মিরান-লাভি বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ করার এবং সব বন্দী ও সৈনিকদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত চুক্তিই কেবল এই ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।’
তিনি ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর আপনার প্রভাব খাটান। এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে, ওমরি ও অন্যান্য বন্দীদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করার কাজটি সম্পন্ন করবে ইসরায়েল। যদিও ট্রাম্প গাজা নিয়ে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি গাজা চুক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি একটি চুক্তি, যা বন্দীদের ফিরিয়ে আনবে ও যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।’
বন্দী থাকা আলোন ওহেলের ভাই রোনেন ওহেল নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনও চিঠি নয়, কোনও ঘোষণা নয়, কোনও বিলম্ব নয়। এখনই সুযোগ, এখনই আপনি নেতৃত্ব দেখাতে পারেন।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তবে ইসরায়েলের কট্টর-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেনগভির নেতানিয়াহুকে চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার কোনও অধিকার আপনার নেই।’
নেতানিয়াহুর জোট সরকার কট্টরপন্থী মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের বিরোধী।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস