২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে: সিইসি

অনলাইন ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২১
শেয়ার :
২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে: সিইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে ২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে। ইতিমধ্যে তারা প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা অনেক কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কাজ যেটা করতে পেরেছি, সেটা হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা একটা বিশাল কাজ। আমরা প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার কর্তন করতে পেরেছি।’

নির্বাচন কমিশন ৯টি আইন সংশোধন করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘মোটামুটি নির্বাচন অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যা যা করা দরকার, এ ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের অনেক কাজ এগিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটার, সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা কিংবা হাজতে থাকা ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারবেন বলেও জানান সিইসি।

তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু শাস্ত্রে ছিল বাস্তবে ছিল না, যেমন পোস্টাল ব্যালট... দেশের ভেতরে নির্বাচনের দিন নির্বাচন নিয়ে ১০ লাখ লোক কাজ করেন। তারা ভোট দিতে পারেন না। সবার ভোটের ব্যবস্থা হবে। যারা হাজতে আছেন, ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না। আমরা তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার শুধু আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে না দেখে তাদের পরামর্শ নিতে আশ্বাস দেন সিইসি।

ইসির আমন্ত্রণে সংলাপে আরও অংশ নেন- সাবেক কূটনৈতিক এম হুমায়ুন কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আবদুুল ওয়াজেদ, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ সংস্কার কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান এবং টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমুখ।