মালয়েশিয়া যেতে না পেরে সড়ক অবরোধ ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের

অনলাইন ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৭
শেয়ার :
মালয়েশিয়া যেতে না পেরে সড়ক অবরোধ ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসে যেতে আগ্রহী বহু শ্রমিক। রোববার দুপুরে তারা রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন। হঠাৎ এই অবরোধে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

শ্রমিকদের অভিযোগ, নানা জটিলতা আর অনিশ্চয়তার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাদের যাত্রা বন্ধ হয়ে আছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ভিসা ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা এলাকার সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দিন বাবু বলেন, ‘আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার আশ্বস্ত করেছিল, কিন্তু বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। তবে কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকায় আশপাশের এলাকায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এতে অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

বিক্ষোভ ঘিরে কারওয়ান বাজার এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার এলাকায় দায়িত্বরত তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা বর্তমানে রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।’

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মীরা বলেন, আমরা ৫-৭ লাখ টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। আমাদের ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে যাওয়ার কথা ছিল। সরকার ট্রেনিং দেওয়ার নামে সময়ক্ষেপণ করেছে। প্রতিটি ট্রেনিংয়ে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঋণ করে এ টাকা আনায় এখন পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। আমাদের যেকোনোভাবে মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে, নইলে ঋণের বোঝা আর সইতে পারবো না। 

বিক্ষোভ সমাবেশে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা। 

দাবিগুলো হলো-

১. ৩১ মে এর আগে যাদের ই-ভিসা ইস্যু হয়েছে কিন্তু বিএমইটির ছাড়পত্র পাননি, এবং যারা সব প্রক্রিয়া শেষ করেছেন, তাদের দ্রুত মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে।

২. নতুন সাক্ষাৎকার হোক বা না হোক, কোনো শ্রমিককে প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা যাবে না।

৩. অতি দ্রুত একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং লিখিতভাবে একটি স্মারকলিপি দিতে হবে।

৪. প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই স্মারকলিপি জমা দিতে হবে।

৫. লিখিত সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকদের পাঠানো সম্ভব না হলে সরকারকে অবিলম্বে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।