নারকেলের নাড়ু ছাড়া পূজার স্বাদ অসম্পূর্ণ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৩
শেয়ার :
নারকেলের নাড়ু ছাড়া পূজার স্বাদ অসম্পূর্ণ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পূজা মানেই আনন্দ, উৎসব আর খাবারের বৈচিত্র্য। আর সেই খাবারের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ হলো নারকেলের নাড়ু। অনেকের মতে, নারকেলের নাড়ু না থাকলে যেন পূজার আনন্দই পূর্ণতা পায় না।

দুর্গাপূজায় প্রায় প্রতিটি পরিবারেই তৈরি হয় নানা স্বাদের নাড়ু, মোয়া, পায়েশ ও সন্দেশ। এর মধ্যে নারকেলের নাড়ু ও গুড়ের সন্দেশ বিশেষ জনপ্রিয়। একইসঙ্গে মন্দিরের পূজার আচারের জন্যও প্রয়োজন হয় প্রচুর নারকেলের। ফলে এ সময় নারকেলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ, আর দামও বাড়ে চক্রবৃদ্ধিহারে।

সরেজমিনে গতকাল শনিবার লালমনিরহাট শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আকারের নারকেল প্রতি জোড়া ১৯০ টাকা, মাঝারি আকারের ২৩০ টাকা এবং বড় নারকেল ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শহরের প্রধান সড়কের পাশে বসেছে মৌসুমি নারকেলের দোকান।

বালাটারীর গৃহবধূ শিউলি রায় বলেন, ‘নারকেল ছাড়া পূজার কথা কল্পনাই করা যায় না। পূজায় আত্মীয়স্বজন বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাদের আপ্যায়নে মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে নারকেলের নাড়ু অবশ্যই রাখতে হয়। তবে এ বছর আগের চেয়ে দাম অনেক বেশি।’

নামুড়ী বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল হক বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে বিক্রি বাড়লেও মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ডাবের দাম বাড়ায় নারকেলের দামও বেড়েছে। পূজার মিষ্টান্ন তৈরিতে নারকেল ও গুড় অপরিহার্য হওয়ায় চাহিদা অনেক।’

পূজা উপলক্ষে শুধু নারকেল নয়, সমান তালে বেড়েছে তিল, চিড়া ও গুড়ের কদরও। দোকানগুলোতে এসব পণ্যের ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাঙালির দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয় বরং আনন্দ, আতিথেয়তা ও খাদ্য সংস্কৃতির এক অপূর্ব সমন্বয়। আর সেখানে নারকেল হলো এমন এক উপাদান, যা ছাড়া পূজার স্বাদ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।