ফোক গানের প্রতি দুর্বলতা সবসময় ছিল আগামীতেও থাকবে: হাবিব ওয়াহিদ

সাক্ষাৎকার

বিনোদন সময় প্রতিবেদক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
ফোক গানের প্রতি দুর্বলতা সবসময় ছিল আগামীতেও থাকবে: হাবিব ওয়াহিদ

ফোক গানকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হাবিব ওয়াহিদের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। হাবিব ওয়াহিদ সংগীতে আত্মপ্রকাশ করেন ২০০৩ সালে ‘কৃষ্ণ’ অ্যালবাম দিয়ে। ফোক ফিউশনধর্মী এ অ্যালবাম সারাদেশের শ্রোতার মাঝে ঝড় তোলে। এরপর ২০০৪ সালে প্রকাশ করেন দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘মায়া’। এ অ্যালবামও পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিম, আমির উদ্দীনসহ অনেক বাউল সাধকের গান নতুন করে স্থান করে নেয় শ্রোতার অন্তরে।

দুই অ্যালবামে সংগীত পরিচালক হিসেবে দেখা গেলেও পরের অ্যালবাম ‘ময়না গো’তে হাবিব গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। গায়ক হিসেবেও নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ফোক গানের প্রতি হাবিব ওয়াহিদের দুর্বলতা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। তাই এবার ফোক গান দিয়েই ভক্ত-শ্রোতাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন।

জনপ্রিয় এই সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক গাইলেন কোক স্টুডিও বাংলা সিজনে। এবার তিনি তুলে ধরলেন বাউল শাহ খোয়াজ মিয়ার গান ‘মহাজাদু’। এ গানের সঙ্গে ফরাসি ভাষায় ফিউশন গেয়েছেন তাজিকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী মেহেরনিগরি রুস্তম। কোক স্টুডিও বাংলা থেকে গানটি প্রকাশ হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রকাশের পর থেকেই গানটি নিয়ে চলছে আলোচনা। গান তৈরি ও কোক স্টুডিওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বলেছেন হাবিব ওয়াহিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- তারেক আনন্দ

দীর্ঘদিন পর ফোক গান গাইলেন। শ্রোতারাও এমন গানের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। কেমন লাগল কোক স্টুডিওর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে?

খুবই ভালো এবং দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। কারণ অনেকদিন পর ফোক ফিউশন করলাম। সেই সঙ্গে চমৎকার সেট এবং ভিজ্যুয়ালস একটা অন্যমাত্রা যোগ করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে একটা ঘরের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেটাকে এক প্রকার মোহময়ও বলা যায়।

আমার বন্ধু মহাজাদু জানে। এই গানের প্রেমে পড়েছিলেন কবে থেকে?

অনেক বছর আগে কায়ার মুখে প্রথম শোনা। তখন থেকেই ‘আমার বন্ধু মহাজাদু’ জানে গানটির প্রতি আমার দুর্বলতাও বলতে পারেন, ভালোবাসাও বলতে পারেন।

গানটি করতে গিয়ে কি মনে হচ্ছিল, শ্রোতারা কীভাবে নেবে। কোক স্টুডিওর সঙ্গে প্রথম কাজ। কোনো বাড়তি টেনশন ছিল?

ফোক গান নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি না। কারণ ফোক আমাদের মাটির জিনিস। কিন্তু যেহেতু নতুন একটি ভাষা যোগ হচ্ছে, তাই সেটা মানুষ কীভাবে নেয়, শ্রোতারা কীভাবে গ্রহণ করেÑ এই ভাবনা কিছুটা ছিল। কোক স্টুডিও-এর সঙ্গে প্রথম কাজ, তাই চেষ্টা ছিল নতুন কিছু করার, যা আগের সিজনগুলোতে হয়নি। এ কারণেই অ্যাকুস্টিকের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ফিউশন করাটা লক্ষ্য ছিল। কারণ আমার মনে হয়, এই জনরা ঠিক ওইভাবে কোক স্টুডিও বাংলাতে আগে শোনা যায়নি।

মেহেরনিগরি রুস্তম তাজিকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী। তার সঙ্গে গান করা, রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

খুবই ভালো ছিল। সে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভদ্র একজন মানুষ, সেই সঙ্গে প্রতিভাবান। আমার সুরে প্রথমবার কোনো বিদেশি ভাষা, তার ওপর ফারসি ভাষার ব্যবহার- এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।

শ্রোতারা ফিরে গেলেন আপনার ক্যারিয়ার শুরুর দিকে। সে সময় আপনি ফোক নিয়ে কাজ করছিলেন। ফোকের প্রতি আপনার স্পেশালি কোনো দুর্বলতা আছে কিনা বা ফোক নিয়ে আগামীতে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানতে চাই।

দুর্বলতা সব সময়ই ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। তাই ইচ্ছা আছে সামনে ফোক গান নিয়ে আরও কাজ করার।