দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি, তার সফল বাস্তবায়নে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সকল অশুভ, অন্যায় আর অন্ধকারকে পরাজিত করে শুভ চেতনার জয় হবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে-দূর্গাপূজা উপলক্ষে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি।’
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ শনিবার দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বাণীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মমতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে আসেন এবং ভক্তদের কল্যাণ সাধন করে শত্রুর বিনাশ ও সৃষ্টিকে লালন করেন। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের এই আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের তাৎপর্যকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘সকল ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের অপূর্ব মেলবন্ধনের অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকলের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ধারাকে সমুন্নত রেখে এবারের দূর্গাপূজাও সারাদেশে নির্বিঘ্নে এবং যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, শান্তি, মৈত্রী ও সাম্য সকল ধর্মের মূল উপজীব্য। মানুষের কল্যাণ সাধনই সব ধর্মের মূল শিক্ষা। তাই নিজ নিজ ধর্মের যথাযথ অনুশীলনের পাশাপাশি মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহমর্মিতা বজায় রেখে সমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।