ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাতকারীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩৯
শেয়ার :
ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাতকারীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে : গয়েশ্বর

ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আঁতাতকারীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার লালবাগ মডেল স্কুল এন্ড কলেজে দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ সংলগ্ন কেল্লার মোড় শ্বশান ঘাটে শারদীয় দুর্গা উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা-৭ আসনের বিভিন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে যতই কথা বলেন, প্রচারণায় কেউ পিছিয়ে নেই। পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা পিআর বুঝি না। যারা ফ্যাসিবাদীর সঙ্গে আঁতাত করেছে তারা এ বিশেষ পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন।’

নির্বাচন না হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদী কায়েম হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে করে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে তা হবে দেশের জন্য ভয়ঙ্কর।’

নিউইয়র্কে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ফেলে চলে গেলেন। আর প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেলেন। বাকিরা হেনস্তার শিকার হলেন। এটা কি অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র?’

দুয়েকটি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে বলে উল্লেখ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পূজাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। এজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে পূজা মণ্ডপ পাহারা দিতে হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দিবে এ জন্য অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। আজকে দেখছি দলের অভাব নেই। একদলের এক এলাকায় একজনই প্রার্থী হয়। সকল প্রার্থী মিলে আগে ধানের শীষে ভোট চাইবেন, তবেই জয় আসবে। বিভক্ত হয়ে ভোট চাইলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মনির হোসেন, সদস্য আনোয়ার পারভেজ বাদল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি, রবিন হোসেনসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা।