লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০১
শেয়ার :
লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

লাদাখ রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার ইঞ্জিনিয়র, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

লাদাখ পুলিশের ডিজি এসডি সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনতাকে উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ আনে। 

এনডিটিভি, আনন্দবাজার ও এবিপি’র প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চার জন নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াংচুকের অলাভজনক সংগঠন ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’র নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। তার একদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

যদিও বৃহস্পতিবার ওয়াংচুক বলেছিলেন, তার সংগঠন কোনো বিদেশি অনুদান নেয়নি। তবে জাতিসংঘ, সুইস ও ইতালীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করেছে এবং সব কর পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, ‘তারা এটাকে বিদেশি অনুদান ভেবে ভুল করেছে। আমি এটাকে সরকারের ভুল বলেই মনে করি। তাই তেমন কিছু মনে করি না। তবে এটি অনুদান নয়, ব্যবসায়িক লেনদেন।’

২০১৮ সালে র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত পার্বত্য অঞ্চলের সুপরিচিত এই সমাজকর্মী কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত ছয় বছর ধরে স্থানীয় নাগরিক সংস্থাগুলোর নেতৃত্বে লাদাখের হাজার হাজার মানুষ ভারতের কাছ থেকে বৃহত্তর সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং রাজ্যের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছে এবং অনশন করেছে।

২০১৯ সাল থেকে এই অঞ্চলকে ফেডারেলভাবে শাসন করছে। কিন্তু তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষমতা চায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মোদি সরকার একতরফাভাবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা এবং রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। রাজ্যটিতে তিনটি অঞ্চল ছিল- মুসলিম-প্রধান কাশ্মীর উপত্যকা, হিন্দু-প্রধান জম্মু এবং লাদাখ- যেখানে মুসলিম ও বৌদ্ধ উভয়ই জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ।