বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি
মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি, বাড়ি দখল ও জুয়া পরিচালনার অভিযোগে খুলনার খালিশপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মাজু এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক এস. আরিফুর রহমান শিমুলকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্ব থাকা শরিফুল ইসলাম টিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজু পদে আসার পর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মাদকের প্রভাব বেড়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আগে যেখানে ৬টি পয়েন্ট ছিল তিনি পদে আসার পর সে স্পট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। এলাকাবাসী মাদকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সুপার মাকের্টের পশ্চিম পাশে বড় বাড়ি মোড়ে মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দামের মাদক ব্যবসা রমরমা। এই সাদ্দামকে শেল্টার দেয় মাজু। শুধু সাদ্দামকে একা নয়, ওয়ার্ডের অধিকাংশ মাদক বিক্রেতাদের গডফাদার বনে গেছেন দলীয় এই পদের জন্য। এ সব মাদক বিক্রেতারা অধিকাংশই পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট যুবলীগ নেতা হোয়াইটের লোক।
তবে মাজু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
১২নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুলের পদে আসার পর হাউজিং ১ নম্বর বিহারী ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা এবং জুয়ার আসর পরিচালিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার সমর্থনের কারণে স্থানীয়রা কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
বিএনপি মহানগর মিডিয়া সেলের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, মনিটরিং সেলের সুপারিশক্রমে বিএনপির মহানগর সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন স্বাক্ষরিত পত্রে দুই নেতাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।