‘পিআর পদ্ধতি ও প্রতীক ইস্যু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৭
শেয়ার :
‘পিআর পদ্ধতি ও প্রতীক ইস্যু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না’

জামায়াতে ইসলামীর সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

আজ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হল মিলনায়তনে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,‌ ‌‘বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন সব কাজ করে যাচ্ছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না, করবে না। আইন যেভাবে আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।’

বিগত নির্বাচনে ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যারা অতীতে নির্বাচনে অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে আমরা নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে দূরে রাখব। তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে দেব না।’

নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর অনেক পরাজিত দল নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন অথবা ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন, সে ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি কোনো কোনো দল বলতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের সিচুয়েশেন নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে আসেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা ও ভোট কারচুপি রোধে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর মোবাইল টিম, মোবাইল কোর্ট, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি ও পর্যবেক্ষক টিমসহ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালায়রে অতিরিক্ত সচিব একেএম নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সিবিটিইপি প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত ৭০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।